‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন আর কান্না নয়, দেশ রক্ষার্থে আমাদের সবাইকে জেগে উঠতে হবে। লোডশেডিংয়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত অবস্থায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত ভোলা জেলা ছাত্রদল সভাপতি নূরে আলমের নামাজে জানাজায় উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নূরে আলমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিএনপি মহাসচিব শান্তিপূর্ণ ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে ছাত্রদল নেতা নূরে আলম হত্যার প্রতিশোধ নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেন’। ছাত্রদল নেতা নূরে আলমের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আগামী ৫, ৬ ও ৭ আগস্ট তিন দিন সারাদেশে শোক পালনের ঘোষণা দেন মির্জা ফখরুল। সেইসাথে ৬, ৭ ও ৮ আগস্ট ছাত্রদল, কৃষকদল ও যুবদলের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি। উল্লিখিত দিনগুলোতে বিএনপি সারাদেশের দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখবে এবং কালো পতাকা উত্তোলন করবে বলেও জানান তিনি। ছাত্রদল নেতা নূরে আলমের জানাজায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনসহ আরো অনেকে। এছাড়া গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী,এলডিপি মহাসচিব ড. রেদওয়ান আহমেদ, ন্যাপ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজারুল ইসলাম, এনডিপির কারী আবু তাহেরসহ ২০ দলীয় জোটের অন্যান্য নেতাকর্মীরাও জানাজায় অংশ নেন। উল্লেখ্য গত ৩১ জুলাই সারাদেশে লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভোলায় বিক্ষোভ পালিত হয়। সেখানে বিক্ষোভরত অবস্থায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হন ছাত্রদল নেতা নূরে আলম। পরে রাজধানীর গ্রিনরোডে কমফোর্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
Leave a Reply