করোনার কারণে দুই বছর বন্ধ থাকার পর আবার শিক্ষার্থীদের ভিসা দেওয়া শুরু করেছে চীন। সোমবার চীনা দূতাবাসের ফেসবুক স্ট্যাটাসে এতথ্য জানানো হয়েছে। এতে জানানো হয় প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষার জন্য সব শিক্ষার্থীই চীনে যাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। তবে শিক্ষার্থীদের চীনে যেতে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ থেকে লিখিত অনুমতি বা ব্যাক টু ক্যাম্পাস নোটিশ নিয়ে ফ্লাইট বুকিং করতে বলা হয়েছে।
চীনা দূতাবাস ঐ পোস্টে আরো জানায় যেসব শিক্ষার্থীর চীনের রেসিডেন্ট পারমিট আছে তাদের নতুন করে আর ভিসার প্রয়োজন হবে না। তবে যেসব শিক্ষার্থী ২০২০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে নিবন্ধিত হয়েছে কিন্তু রেসিডেন্ট পারমিট নেই তাদের সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে লিখিত অনুমতি ‘ব্যাক টু ক্যাম্পাস নোটিশ’ নিয়ে স্টুডেন্ট ভিসা নোটিফিকেশনসহ আবেদন করতে হবে। বিস্তারিত জানতে chineseembassy.dhk@gmail.com মেইলে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। এছাড়া অনলাইনে https://cova.mfa.gov.cn এ ভিসার আবেদন করা যাবে বলে জানিয়েছে দূতাবাস। স্ট্যাটাসে উল্লেখ করা হয় লিখিত অনুমতি ও ভিসা পাওয়ার পর ফ্লাইট বুকিং করা যাবে। গুয়াংঝু ও কুনমিংয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ফ্লাইট চলমান রয়েছে জানিয়ে দূতাবাস জানায়। প্রয়োজনে ফ্লাইট ভাড়া করার বিষয়টিও বিবেচনায় রয়েছে তাদের। এছাড়া ফ্লাইটে ওঠার ৪৮ ঘণ্টা আগে শিক্ষার্থীদের দুটি নেগেটিভ সনদ লাগবে এবং দুটিতেই থাকতে হবে নেগেটিভ রিপোর্ট। যাদের দুটোতেই নেগেটিভ রিপোর্ট আসবে তাদেরই গ্রিন হেলথ কার্ড দেওয়া হবে। পরীক্ষাগুলোও হতে হবে চাইনিজ মানদণ্ড অনুযায়ী। তাছাড়া চীনে পৌঁছার পর শিক্ষার্থীদের নিজ খরচে তিন থেকে পাঁচ দিন নির্ধারিত হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে বলে জানিয়েছে চীনা দূতাবাস।
Leave a Reply