ভূমিকা :
রাজ পরীমণির সন্তানের নাম রাখা নিয়ে বিতর্কিত নারীবাদী লেখিকা তসলিমা নাসরিন তার ফেসবুক প্রোফাইলে একটি মন্তব্য করেছেন । যা নিয়ে নেট দুনিয়ায় বিশেষ করে বিনোদন মিডিয়ায় হচ্ছে আলোচনা সমালোচনা। আজকের এই প্রতিবেদনটি পরীমণির আলোচিত একটি বছর ও তসলিমার সাম্প্রতিক মন্তব্য নিয়ে।
বিস্তারিত :
গেলো বছর ধরেই প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন কারণে সংবাদের শিরোনাম হচ্ছেন পরীমণি। পুলিশ কর্মকর্তার সাথে তার আপত্তিকর সম্পর্ক, তার সাথে জন্মদিন পালনের ভাইরাল ভিডিও, গভীর রাতে হোটেলে ব্যবসায়ী নাসিরুদ্দিনের সাথে হাতাহাতি, অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ, নাইট ক্লাবে ভাঙচুর, তার করা মামলায় নাসিরুদ্দিনের গ্রেফতার, পরীমণির বাসায় মদের বারের সন্ধান, অতঃপর গ্রেফতার হয়ে কারাবরণ, কিছুদিন পর রাজকীয় সম্বর্ধনার মতো করে জামিনে মুক্তি লাভ, নিজের জন্মদিনে আপত্তিকর লুঙ্গি ডান্স, তার কিছুদিন পর শরিফুল রাজের সাথে তার বিয়ের খবর স্বউদ্যোগে প্রচার, সাথে নিজের গর্ভবতী হওয়ার তথ্য, তারপর আনুষ্ঠানিকভাবে রাজের সাথে বিয়ে সব মিলিয়ে বছর জুড়েই সরব রয়েছেন পরীমণি। সবশেষে বুধবার পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়ে তার পরদিনই সন্তানের ছবি সামনে আনলেন তিনি। সেইসঙ্গে জানালেন সন্তানের নাম শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য। আর এখানেই ঘোর আপত্তি জানালেন বাংলাদেশ থেকে বিতারিত বিতর্কিত নারীবাদী লেখিকা তসলিমা নাসরিন। রাজ পরীমণির পুত্রসন্তানের এ নাম তার পছন্দ হয়নি। এমনকি তাদের সন্তানের নাম রাজ্য রাখাটা ঠিক হয়নি বলেও জানালেন এই লেখিকা। ছেলের ছবি প্রকাশ করায় পরীমণিকে প্রশংসায় ভাসালেও স্বামীর নামের সঙ্গে মিল রেখে সন্তানের নাম ‘রাজ্য’ রাখায় নাখোশ হয়েছেন তিনি। তার মতে ‘‘স্বামীটামীরা আজ আছে, কাল নেই। সন্তান তো চিরদিনের। পরী তাঁর নামের সঙ্গে মিলিয়ে সুন্দর একটি বাংলা নাম রাখতে পারতেন। তবে পরীর জায়গায় তসলিমা হলে সন্তানের নাম কী রাখতেন তাও জানিয়ে দিয়েছেন তসলিমা। তিনি জানান পরীর জায়গায় তিনি হলে ‘রাজ্য’ নয়, ডাকনাম রাখতেন ‘পরমানন্দ’। আর ভালো নাম ‘শাহীম মুহাম্মদ’ নয়, রাখতাম ‘পরমানন্দ প্রাণ’।’’
শেষ কথা :
পাঠক একজন বাবা মা তাদের সন্তানের নাম রাখার পূর্ণ অধিকার সংরক্ষণ করেন। সেক্ষেত্রে কারো কারো সে নাম পছন্দ নাই হতে পারে। তাই বলে রাজপরীমণির রাখা নামটি সরাসরি পছন্দ হয়নি কিংবা রাজের স্ত্রীর জায়গায় নিজেকে দাঁড় করিয়ে তসলিমার সরাসরি পোস্ট করা ভদ্রতার মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হয়নি বলে মনে করছেন অনেকেই।
Leave a Reply