মাত্র ১৪দিন আগে কলেজছাত্র মামুনকে বিয়ে করে সারাদেশে আলোচনার ঝড় তুলেছিলেন নাটোরের গুরুদাসপুরের শিক্ষিকা খায়রুন নাহার। কেউ কেউ সমালোচনায় বিদ্ধ করলেও বেশিরভাগ মানুষই স্বাগত জানিয়েছিলেন এই দম্পতিকে। কিন্তু বিয়ের ঘটনা জানাজানির ১৫দিন না যেতেই শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হলো। রোববার ( ১৪ আগস্ট) সকালে নাটোর শহরের বলারিপাড়া এলাকার ভাড়া বাসা থেকে শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এলাকাবাসী জানান, শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে স্বামী মামুন আশপাশের মানুষদের ডেকে তার স্ত্রী খায়রুন নাহার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে চিৎকার করতে থাকেন। । কিন্তু এলাকাবাসী ছুটে গিয়ে তার ঘরে মরদেহ মেঝেতে সোয়ানো অবস্থায় দেখতে পেলে তাদের সন্দেহ হয়। পরে মামুনকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী। এ বিষয়ে নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ জানান মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মূল ঘটনা জানা যাবে। এদিকে ১৫ আগস্ট দুপুর ১টার দিকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে নিহত শিক্ষিকার স্বামী মামুনকে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। এর আগে দুপুর ১টার দিকে তাকে আদালতে নেওয়া হয়। মামুনকে ৫৪ ধারায় আটক দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। উল্লেখ্য গত ৩১ জুলাই গুরুদাসপুর খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক খাইরুন নাহার ও নাটোর এন এস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মামুনের বিয়ের ঘটনাটি প্রকাশ পায় । সেদিন দুজনেই আমৃত্যু দুজনের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
Leave a Reply