আজ ১৫ আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস। স্বাধীনতার স্থপতি, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী। যথাযোগ্য মর্যাদায় গভীর শ্রদ্ধার সাথে নির্বিশেষে বাঙালি জাতি দিবসটি পালন করছে। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্টপ্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী তাদের বাণীতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্ট নিহত সকল শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। সকাল ৮টায় বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, মাজার জিয়ারত, ফাতেহা পাঠ, মোনাজাত ও মিলাদ মাহফিল। দুপুর ১২টায় টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। এছাড়া সারাদেশে সংগঠনের সকল স্তরের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন, ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণসহ সারাদেশে দোয়া, মিলাদ মাহফিলসহ নানা কার্যক্রম। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াগুলো বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে। উল্লেখ্য ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোর রাতে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। সেইসাথে তাদের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল , শিশু শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল, রোজি জামালসহ পরিবারের ১৬জন সদস্য। বঙ্গবন্ধুর দুইকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় এ নিমর্ম হত্যাকান্ড থেকে প্রাণে রক্ষা পান।
Leave a Reply