লাগামহীন বাড়তে থাকা ডিমের দাম অবশেষে কমতে শুরু করেছে। রাজধানীর যাত্রাবাড়ি, কাওরানবাজার, তেজগাঁও, মালিবাগসহ বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখা যায় ডিমের পাইকারি দাম ডজনপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন যায়গায় মুরগির ডিমের ডজন ১৬০ টাকা কোথাও কোথাও এর চেয়েও বেশি টাকায় বিক্রির খবর পাওয়া গেলেও বৃহস্পতিবার তা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন অত্যাধিক দামের কারণে ডিমের চাহিদা কমে যাওয়ায় ডিমের দাম কমতে শুরু করেছে। তাছাড়া গেলো দুদিনে ডিমের সরবরাহও বৃদ্ধি পেয়েছে ফলে তার প্রভাব পড়েছে বাজারে। কোনো কোনো ব্যবসায়ী বলছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ায় মানুষকে ডিম না খেতে উৎসাহিত করেছেন। আবার ভোক্তাদের অনেকে মাত্রাতিরিক্ত দাম বেড়ে যাওয়ায় ডিম অন্তত এক সপ্তাহ না খাওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছেন। ফলে ডিম ব্যবসায়ীদের বিক্রি কমে গেছে ২০ থেকে ৪০ ভাগ। তাই ডিমের দাম কমতে শুরু করেছে অনেকটা বাধ্য হয়েই। ডিমের দাম কমতে শুরু করার আরো একটি মনস্তাত্ত্বিক কারণ খুঁজে পেয়েছেন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সচেতন ভোক্তারা। সেটি হলো বুধবার বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী ঘোষণা করেছেন প্রয়োজনে বাইরে থেকে ডিম আমদানি করা হবে। আর এই ঘোষণাতেই নড়েচড়ে বসেছে ব্যবসায়ীরা। কারণ ডিম আমদানি হলে ভোক্তাদের সুবিধা হলেও তাদেরই ক্ষতি হবে বেশি। ফলে বেশি লাভের আশায় ডিমের দাম বাড়িয়ে দেওয়া ব্যবসায়ীরা কিছুটা ছাড় দিয়েছেন এক্ষেত্রে। তাই কমতে শুরু করেছে ডিমের দাম। তাছাড়া গেলো দুতিনদিন ধরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাজধানীর বেশ কয়েকটি ডিমের আড়তে অভিযান চালিয়ে বেশি দামে বিক্রি করা, ক্রয়ের রশিদ দেখাতে না পারাসহ বিভিন্ন অপরাধে জরিমানা আদায় করে। ফলে অসাধু ব্যবসায়ীদের মধ্যে একটি ভীতি কাজ করায় সেটিও ভূমিকা রেখেছে ডিমের দামের লাগাম টেনে ধরতে। তবে যে কারণেই হোক ডিমের দাম কমতে শুরু করেছে আপাতত এটিই ক্রেতাদের জন্য স্বস্তির খবর বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
Leave a Reply