একজন মুসলমান যখন মৃত্যুবরণ করেন তখন তার আমলের দরজা বা পথ বন্ধ হয়ে যায়। অর্থাৎ তার দ্বারা আর কোনো আমল করার সুযোগ থাকে না। তবে দুনিয়ায় করে যাওয়া তিনটি আমল মৃত্যুর পরও সচল থাকে। অর্থাৎ এর সাওয়াব কেয়ামত পর্যন্ত ঐ ব্যক্তি পেতে থাকেন। হজরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে উল্লেখ আছে রাসুল (স.) ইরশাদ করেছেন, যখন কোনো ব্যক্তি মারা যায়, তখন তার আমলের পথ বন্ধ হয়ে যায়। তবে তিনটি আমল কখনো বন্ধ হয় না ১. সাদকায়ে জারিয়া, ২. ঐ ইলম যা দ্বারা অন্যরা উপকৃত হয়, ৩. নেককার সন্তান যে তার জন্য দোয়া করে। (সহিহ মুসলিম-১৬৩১ এবং সুনানে আবু দাউদ-২৮৮০) । উল্লিখিত হাদিসের আলোকে এটিই প্রতীয়মান হয় যে মৃত্যুর আগে দুনিয়ায় আমরা সহীহ নিয়তে নির্দিষ্ট খাতে যে দান সদকাগুলো করি সেগুলো সদকায়ে জারিয়া হিসেবে মৃত্যুর পরও আমাদের আমলনামায় জমা হতে থাকে। তারপর এমন কোনো ইলম বা জ্ঞান যা দুনিয়াতে আপনি আমি অপরের মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছি যাতে অন্য কোনো ব্যক্তি বা সমাজ উপকৃত হয়েছে সেটিও কেয়ামত পর্যন্ত আপনার আমার আমলনামাকে চালু রাখবে। সবশেষে দুনিয়াতে আপনার আমার রেখে যাওয়া নেককার সন্তান যারা আমাদের মৃত্যুর পর হাত তুলে দোয়া করবে সেইসব সন্তানের দোয়ার বরকতে মৃত্যুর পরও জারি থাকবে আপনার আমার আমল। আল্লাহ আমাদের সবাইকে দুনিয়াতে এই আমলগুলো করে যাওয়ার তৌফিক দান করুন। আমিন।
Leave a Reply