তিন বছরের ফুটফুটে শিশু সাইদ আহমেদ। তার নিষ্পাপ মায়াবী হাসি মন কেড়ে নিত সবার। কিন্তু নিয়তির নির্মমতা ওই হাসি কেড়ে নিয়েছে চিরতরে। পাষ- সৎ মা কহিনুর বেগম নিষ্পাপ শিশু সাইদ আহমেদকে হত্যা করে শুক্রবার (২৬ আগষ্ট) পৈত্রিক বসত ঘরের ভেতর মাটিতে পুঁতে রাখে। হৃদয় বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে রামগঞ্জ উপজেলার দরবেশপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড উত্তর দরবেশপুর গ্রামের চৌকিদার বাড়িতে। তিনদিন পর সোমবার বিকেল পাঁচটায় রামগঞ্জ থানা পুলিশ চৌকিদার বাড়ির সৎ মা কহিনুর বেগমের পৈত্রিক বসত ঘরের মাটি খুঁড়ে হতভাগা শিশু সাইদ আহমেদের গলিত লাশ উদ্ধার করে। এসময় শতশত উৎসুক নারী-পুরুষ শিশু সাইদ আহমেদের লাশ একনজর দেখার জন্য চৌকিদার বাড়িতে ভিড় জমায়। জানা গেছে রামগঞ্জের পাশ্ববর্তী হাজীগঞ্জ উপজেলার ৬নং বড়কুল ইউনিয়নের দক্ষিণ রায়চূড় গ্রামের হাফেজ শাহ মিরানের ১ম স্ত্রীর সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় প্রায় দুইবছর আগে। তারপর দেড়বছর আগে রামগঞ্জের উত্তর দরবেশপুর গ্রামের চৌকিদার বাড়ির কোহিনুর বেগমকে বিয়ে করেন হাফেজ মিরান। দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছে তুলে দেন তার তার প্রথম স্ত্রীর গর্ভজাত সন্তান সাইদ আহমদকে। শুরুতে সৎ মা সাইদ আহমদকে দেখতে পারলেও নিজে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর থেকেই চক্ষুশুল হয়ে যায় শিশু সাইদ আহমেদ। জন্ম নেয় হিংসা। আর তার জেরেই ২৬ আগস্ট শুক্রবার শিশু সাইদকে নিয়ে বাবার বাড়ি বেড়াতে যান সৎ মা কোহিনুর বেগম। তারপর সেদিনই শিশুটিকে হত্যা করে লুঙ্গি পেঁচিয়ে বাবার বসত ঘরের মাটি খুঁড়ে চাপা দিয়ে রাখে। আর স্বামী হাফেজ শাহ মিরানকে জানান তার ছেলে সাইদ হারিয়ে গেছে। বিষয়টি সন্দেহ হলে স্বামী মিরান পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। এক পর্যায়ে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সৎ মা কোহিনুর বেগম শিশু সাইদকে হত্যা করে লাশ মাটিতে পুতে রাখার কথা স্বীকার করেন। তার স্বাকারোক্তি অনুযায়ী সোমবার বিকেলে ঘরের ভিতর থেকে শিশু সাইদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ঘাতক সৎ মা কোহিনুর আক্তারকে গ্রেফতার করেছে। রামগঞ্জ প্রতিনিধি
Leave a Reply