সাতক্ষীরার চাঞ্চল্যকর লোমহর্ষক হত্যাকান্ডের মূল আসামীকে গ্রেফতারের পর হত্যার শিকার ইয়াসিন আলীর বিচ্ছিন্ন মাথা উদ্ধার করেছে র্যাব। রোববার সকাল সাড়ে নয়টায় সাতক্ষীরা শহরের বাইপাস সড়কের একটি কালভাটের নীচ থেকে বস্তায় ভর্তি মাথাটি উদ্ধার হয়। এর আগে শনিবার দিবাগত রাতে ঘাতক জাকির হোসেনকে (৫০) গ্রেফতার করে র্যাব। জাকির হোসেন সদর উপজেলার পারকুখরালী গড়েরকান্দা এলাকার বাচ্চু শেখের ছেলে। মাথা উদ্ধারের পর অভিযুক্তের ব্যবহৃত মটর ভ্যান ও পোশাক উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দা উদ্ধারের চেষ্টা করছে র্যাব। উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দেন, খুলনা র্যাব -৬ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোসতাক আহমেদ।
খুলনা র্যাব -৬ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোসতাক আহমেদ জানান, ইয়াছিন আলীর সাথে জাকিরের ব্যবসা ছিল, ব্যবসার লেনদেনের ২০ হাজার টাকা পেতেন ঘাতক জাকির। কয়েকবার তাগাদা দিয়েও টাকা না পাওয়ায় তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে জাকির। কিন্তু ইয়াছিনকে তা বুঝতে না দিয়ে নতুন ব্যবসার কথা বলে গত ৩০ আগস্ট একটি ভ্যানে তাকে শহরের বাইপাস সড়কে নিয়ে যায়। দীর্ঘসময় গল্পগুজব করে সময় ক্ষেপন করতে থাকে জাকির। রাত যখন গভীর হয় তখন খুনি সুযোগ বুঝে রাত ১২টার পর ইয়াছিনের গলায় দা দিয়ে কোপ মারে। সে পড়ে গেলে তাকে এ্যালোপাতাড়ি কোপাতে থাকে জাকির। একপর্যায়ে ভিকটিমের মাথা শরীর থেকে আলাদা হয়ে যায়। তখন মাথাবিহীন মরদেহ টেনে রাস্তার পার্শ্বে পানিতে ফেলে দেয়। তার মাথাটি আলাদা নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দুরে বাইপাসেরএকটি কালভাটের নিচে বস্তাবন্দি করে ফেলে রেখে চলে যায়।
পরদিন ৩১ আগস্ট এলাকার লোকজন রাস্তায় পার্শ্বে পানিতে লাশ দেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ইয়াছিনের স্ত্রী বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার চরদিন পর র্যাব ইয়াছিন হত্যাকান্ডের আসল রহস্য উদঘাটন করতে সমর্থ হলো।
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
Leave a Reply