দীর্ঘ ২০ বছরেরও বেশি সময় পর আবারো চলচ্চিত্রে ফিরছেন এক সময়ের আলোচিত সমালোচিত নায়িকা । তবে এবার নায়িকা হয়ে নয় রীতিমতো ভয়ংকর ভিলেন হয়ে আসছেন তিনি। তাকে নিয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন।
১৯৯৭ সালে খ্যাতিমান পরিচালক এহতেশামের মাধ্যমে বাংলা সিনেমায় এক নতুন নায়িকার দেখা পায় দর্শকরা। নায়িকার নাম মুনমুন। এহতেশাম তার মৌমাছি ছবিতে মুনমুনকে নায়িকা হিসেবে ব্রেক দিলেও ছবিটি ব্যবসায়িকভাবে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর তার শক্তির লড়াই চলচ্চিত্রে মুনমুনকে নায়িকা হিসেবে নেন এবং সেই ছবিতে মুনমুনের অনবদ্য অভিনয় সবার নজড় কাড়ে। তারপর একে একে ৮৫টি ছবিতে অভিনয় করেন এই নায়িকা। এগুলোর মধ্যে, মৃত্যুর মুখে, জানের জান, লঙ্কাকান্ড, রক্তের অধিকার, শত্রু সাবধান, রানী কেন ডাকাত অন্যতম। ঢালিউড কিং শাকিব খানের সঙ্গেও তিনি ১৪টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তবে ১৯৯৭ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত মুনমুন অভিনিত সিনেমাগুলোর অনেকগুলোই অশ্লীলতার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়। বলা যায় তখন চলচ্চিত্রে অশ্লীলতার যে জোয়ার বইছিলো সে জোয়ারে গা ভাসিয়েছিলেন মুনমুনও। এক সময় সরকার অশ্লীলতার বিরুদ্ধে কঠোর হলে সিনেমা থেকে সরে দাঁড়ান মুনমুন। চলে যান যুক্তরাজ্যে। তবে দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর পর আবারো চলচ্চিত্রে ফিরছেন এক সময়ের ব্যস্ত এই নায়িকা। তবে এবার তিনি নায়িকা হয়ে নয়। পর্দা কাঁপাবেন ভিলেন হয়ে। বাংলা চলচ্চিত্রে নারী ভিলেনের ব্যবহার না থাকলেও মুনমুনকে ভিলেন চরিত্রে রেখে রাগী নামের সিনেমা নির্মাণ করেছেন পরিচালক মিজানুর রহমান মিজান। তিনি জানান রাগী সিনেমায় চিত্রনায়িকা মুনমুনকে একেবারে ভিন্ন রূপে দেখতে পাবেন দর্শকরা। এই সিনেমার বিষয়বস্তু সিরিয়াস হলেও দর্শক তা কমেডির মোড়কে দেখতে পাবেন বলেও জানান পরিচালক। ইতোমধ্যেই মুনমুনের জন্মদিন উপলক্ষে প্রকাশ পেয়েছে রাগী সিনেমার পোস্টার । সেখানে মুনমুনের লুক প্রশংসা পেয়েছে নেটিজেনদের। রাগী প্রসঙ্গে মুনমুনের বক্তব্য, দর্শক সিনেমাটি দেখলে যেমন হাসবে, তেমনি কাঁদবে আবার রেগেও যাবে। এমনকি যারা বলছেন নারী ভিলেনের সিনেমা চলবে না তাদের ধারনাও পাল্টে দিবে বলে মন্তব্য করেন মুনমুন। রাগী সিনেমায় নায়ক নায়িকা চরিত্রে রয়েছেন আবির চৌধুরী, আঁচল আঁখি ও মৌমিতা মৌ। জাকেরা খাতুন জয়া প্রযোজিত সিনেমাটি পরিবেশনায় রয়েছে জাজ মাল্টিমিডিয়া।
Leave a Reply