শাকিব খান বাংলা চলচ্চিত্রকে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বেটার সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছেন এতে কোনো সন্দেহ নেই । তার বিনিময়ে লাখো কোটি দর্শক শ্রোতার ভালোবাসা পেয়েছেন তিনি। কিন্তু দর্শকদের ভালোবাসার মূল্য দিতে ব্যর্থ হয়েছেন শাকিব খান। তার একের পর এক গোপন বিয়ে, গোপনে সন্তান জন্ম দান, সন্তানের পরিচয় গোপন রাখা, একজনকে ছেড়ে অন্যজনের সাথে সম্পর্ক করার বিষয়গুলো কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তার ভক্তরা। আর এজন্য দর্শকদের তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছেন এই নায়ক। ঘটনার শুরুটা হয়েছে চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসকে দিয়ে। ২০০৮ সালে তাকে গোপনে বিয়ে করেন শাকিব খান। কিন্তু অপুকে নিষেধ করে দেন এ সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলতে। এমনকি সন্তান জন্মের পরও অপুকে লোকচক্ষুর আড়ালে থাকতে বাধ্য করেন শাকিব। কিন্তু অপুকে ছেড়ে যখন বুবলির দিকে ঝুঁকে পড়েন শাকিব তখনই গা ঝাড়া দিয়ে উঠেন অপু বিশ্বাস। ২০১৮ সালে সন্তান আব্রাহাম খান জয়কে নিয়ে মিডিয়ায় আসেন অপু। তার খেসারত হিসেবে শাকিব খান অপুকে ডিভোর্স দেন। শাকিবের পরবর্তী টার্গেট বুবলির পরিণতিটাও প্রায় একইরকম। একের পর এক জুটিবদ্ধ হয়ে কাজ করতে করতে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান শাকিব বুবলি। তারপর এক পর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন বুবলি। এবার বুবলিকে আমেরিকায় পাঠিয়ে দেন শাকিব। সেখানেই জন্ম হয় তাদের সন্তান শেহজাদ খান বীরের। কিন্তু সেটিও দীর্ঘদিন গোপন রাখেন শাকিব। কিন্তু যখন শাকিব খানের নজর অন্য দিকে ঘুরে যেতে দেখলেন নায়িকা বুবলি তখন আড়াই বছরের সন্তান বীরকে মিডিয়ায় প্রকাশ করেন বুবলি। কোনো রাখঢাক ছাড়াই জানালেন এ সন্তানের বাবা শাকিব খান। শাকিব খানও উপায়ন্তর না দেখে স্বীকার করে নেন সবকিছু। যদিও কিছু কিছু সূত্র বলছে বুবলির সাথেও ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে শাকিবের। অন্যদিকে বুবলির ঘটনার পর শাকিবের আরো এক স্ত্রী আর সন্তানের সন্ধান পায় দেশের মিডিয়া। শাকিবের ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে রাত্রি নামের এক উঠতি নায়িকার সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন এখনকার ঢালিউড কিং। সেখানেও রাহুল খান নামে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে তার। যদিও এ ব্যাপারে এখনে মুখ খুলেননি শাকিব। নিজের এসব কর্মকান্ডে চিত্রনায়ক শাকিব খান বিব্রতবোধ করেন কি না সেটি প্রশ্নসাপেক্ষ। তবে তার ভক্তরা এসব ঘটনায় চরম বিব্রতবোধ করছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর পোস্ট আর কমেন্টসগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায় তারা এ চিত্রনায়কের উপর বিরক্ত। অনেকেই শাকিব খানকে চলচ্চিত্রে বয়কট করার আহবান জানাচ্ছেন। তার সিনেমা না দেখার প্রতিজ্ঞা করছেন কেউ কেউ। একটু বাড়তি যোগ করে কেউ কেউ বলছেন শাকিব খানের সিনেমা দেখার রুচিও হারিয়ে ফেলেছেন তারা।
Leave a Reply