আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জামালপুরের সরিষাবাড়ীর তারাকান্দির যমুনা সার কারখানায় আওয়ামীলীগের দু-পক্ষের মুখোমুখি সংঘর্ষে পুলিশসহ ১০ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ শর্টগানের ৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ১২৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও অজ্ঞাতনামা ৩০-৪০ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছে। স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, তারাকান্দির যমুনা সার কারখানায় আমদানি করা ইউরিয়া সারের পরিবহনে গ্রামসিকো লিমিটেড এর প্রতিনিধি মেসার্স মাজেদা এন্টারপ্রাইজ ট্রাক প্রতি ৫শ থেকে ৭শ টাকা করে চাঁদা আদায় করে। পরিবহন থেকে এ চাঁদা বন্ধ নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও পোগলদিঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম মানিকের মধ্যে কিছু দিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জের ধরেই রোববার রাত সাড়ে ৯টায় রফিকুল ইসলামের সমর্থিত রায়হান কান্দারপাড়া বাজার এলাকায় আশরাফুল আলম মানিক এর সর্মথকরা হামলা চালায়। এ খবরে রফিকুল ইসলামের সর্মথকরা সার কারখানা গেটপাড় এলাকায় সংঘবদ্ধ হয়। পরে আশরাফুল আলম মানিক এর সর্মথকরাও সংঘটিত হয়ে দু-গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নেয়।
এতে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ইটপাটকেল নিক্ষেপে আহতরা হলেন-তারাকান্তি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এস আই আব্দুল আজিজ, এ এস আই সাইফুল ইসলাম, কন্সটেবল সালাম আঘাত প্রাপ্ত হয়ে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেন। এদিকে রফিকুল ইসলাম এর সর্মথক রায়হান (৫০), রফিক (৩৫), মিনহাজ (৩০)কে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রশিদ, লালন, লাল চান, মজিদ চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এস আই আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে সাবেক উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলামকে প্রধান আসামী ও পোগালদিঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আশরাফুল আলম মানিককে ২য় আসামী করে ১২৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরোও ৩০/৪০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে পোগলদিঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আশরাফুল আলম মানিক জানান, রফিকুল ইসলামের সমর্থিত রায়হান কান্দারপাডা গ্রামের এক লোককে মারপিট করার জের ধরে মারামারির বিষয়টি আমাদের উপর চাপিয়ে তারা আমার লোকজনের উপর হামলা চালিয়ে গুলিবর্ষণ করেছে। জানতে চাইলে অপর পক্ষের সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, গ্রামসিকো লিমিটেড এর প্রতিনিধি মেসার্স মাজেদা এন্টার প্রাইজের মালিক আশরাফুল ইসলাম মানিকের ম্যানেজার রইছ উদ্দিন প্রভাব খাটিয়ে সার আনলোড চুক্তিমূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত ৫ শত টাকা বেশি আদায় করছেন। এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মহব্বত কবীর বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু-পক্ষের মুখোমুখি সংর্ঘষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ পর্যন্ত দুইজনকে আটক করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ- সরিষাবাড়ি থেকে
Leave a Reply