বাংলা চলচ্চিত্রের খ্যাতিমান খল অভিনেতা মিশা সওদাগর। ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন এফডিসির নতুন মুখ কার্যক্রমে উত্তীর্ণ হয়ে চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন। ১৯৯০ সালে তার দুটি সিনেমা চেতনা ও অমর সঙ্গী মুক্তি পায়। এ দুটি ছবিতেই তিনি নায়ক হিসেবে অভিনয় করেন। দুর্ভাগ্যবশত তার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি দুটির কোনোটিই সাফল্যের মুখ দেখেনি। তারপর ১৯৯৪ সালে তিনি তমিজ উদ্দীন রিজভী পরিচালিত আশা ভালোবাসা সিনেমায় প্রথম ভিলেন হিসেবে কাজ করেন। তারপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। কিংবদন্তী খল অভিনেতা হুমায়ুন ফরিদী রাজিবদের সময়েই দাপটের সাথে কাজ করেছেন এই অভিনেতা। গত দুইতিন দশক ধরে মিশা সওদাগর ছাড়া বাংলা চলচ্চিত্রের ভিলেন চরিত্র যেন কল্পনাই করা যায় না। ইতোমধ্যেই সিনেমায় ছাড়িয়ে সহস্রের ঘর। সিনেমা ছাড়াও নাটক কিংবা বিজ্ঞাপনেও মডেল হিসেবে সুনামের সাথে কাজ করেছেন তিনি। তবে এবার নতুন ভিন্নধর্মী একটি কাজে নিজেকে যুক্ত করলেন শক্তিমান অভিনেতা মিশা সওদাগর। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো একটি ইসলামী গানের মডেল হলেন তিনি। জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক সংগঠন কলরবের শিল্পী মুহাম্মদ বদরুজ্জামানের গাওয়া ‘মইরা গেলে ফিরা আসে না শিরোনামের একটি ইসলামি সংগীতের মডেল হয়েছেন। হৃদয়গ্রাহী এই ইসলামী সংগীতটির কথা লিখেছেন রফিকুল ইসলাম তাওহিদ, সুর করেছেন মুহাম্মদ বদরুজ্জামান। আর এর ভিডিও নির্মাণ করেছেন নির্মাতা ইয়ামিন এলান। ইসলামী গানটির শুটিং স ম্পন্ন হয়েছে গাজীপুর পুবাইলের বিভিন্ন মনোরম লোকেশনে। সংগীতটির সুরকার ও গায়ক মুহাম্মদ বদরুজ্জামান জানালেন , মইরা গেলে ফিইরা আসে না সংগীতটি মানুষকে মৃত্যুর কথা মনে করিয়ে দেবে। এদিকে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ইসলামী সংগীতে অভিনয় করে উচ্ছসিত এবং পরিতৃপ্ত অভিনেতা মিশা সওদাগর। তিনি বলেন- আমি নিজেও ইসলামের বিধি বিধান তথা ধর্ম কর্ম মেনে চলার চেষ্টা করি। আমার এ কাজটি দেখে যদি একজন মানুষের ভেতরও সৎভাবে বাঁচার ইচ্ছে জাগে তাহলেই আমি সার্থক।
Leave a Reply