বাংলা চলচ্চিত্রের এক সময়ের জনপ্রিয় ও দাপুটে চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভিন পপি। ১৯৯৭ সালে মমতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত কুলি ছবির মাধ্যমে যাত্রা শুরুর পর দীর্ঘদিন রাজত্ব করেছেন বাংলা চলচ্চিত্রে। উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় ও ব্যবসাসফল ছবি। গুণী এ চিত্রনায়িকা কারাগার, মেঘের কোলে রোদ ও গঙ্গাযাত্রা ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনবার পেয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ সম্মানজনক পুরস্কার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। শাকিল খান, রুবেল, মান্না, ওমর সানী, অমিত হাসান, শাকিব খান, রিয়াজসহ প্রায় সব তারকার সাথেই অভিনয় করেছেন তিনি। বাণিজ্যিক ধারার ছবির পাশাপাশি কাজ করেছেন বেশ কিছু সাহিত্য নির্ভর চলচ্চিত্রেও। বিদ্রোহী পদ্মা, রাণী কুঠির বাকী ইতিহাস, পৌষ মাসের পিরিত সিনেমাগুলোতে অভিনয় করে নিজের একটি আলাদা অবস্থান তৈরি করেন পপি। কিন্তু ক্যারিয়ারে সুবিধাজনক অবস্থায় থাকা সত্ত্বেও হঠাৎ চলচ্চিত্র থেকে দূরে সরে যেতে থাকেন পপি। কমিয়ে দেন সিনেমায় অভিনয়। প্রায় দুবছর ধরে পুরোপুরিই বিচ্ছিন্ন আছেন চলচ্চিত্র থেকে । এমনকি তিনি কোথায় আছেন তাও জানা নেই কারো। তবে বছরের শুরুতে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে একদিন এক ভিডিও বার্তায় ইলিয়াস কাঞ্চন নিপুণের পক্ষে ভোট চেয়ে এবং জায়েদ খানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ জানিয়ে আবারো উধাও হয়ে যান তিনি। এ অবস্থায় নতুন খবর হলো পপি অভিনিত নতুন একটি সিনেমা মুক্তি পেতে যাচ্ছে আসছে ২৩ ডিসেম্বর। প্রায় এক বছর আগে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়া এ সিনেমার নাম ডাইরেক্ট এটাক। এতে পপি একজন ডিবি অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সাদেক সিদ্দিকী পরিচালিত এ সিনেমায় পপির বিপরীতে রয়েছেন চিত্রনায়ক আমিন খান। এ সিনেমা মধ্য দিয়ে নিজে গোপন থেকেও দর্শকদের সামনে আসছেন এক সময়ের সাড়া জাগানো নায়িকা পপি। তবে সিনেমার প্রচার নিয়ে নিজের বিপাকের কথা জানালেন পরিচালক সাদেক সিদ্দিকী। তিনি জানান এই মুহূর্তে সিনেমার নায়িকা পপিকে তার খুব দরকার ছিলো। কিন্তু তাকে কোনোভাবেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শেষ মুহূর্তে হলেও ছবির প্রচারণায় পপির থাকাটা প্রয়োজন বলে মনে করেন পরিচালক। পরিচালকের ভাষ্যমতে পপি যদি আর সিনেমা নাও করে তবুও বিষয়টি খোলাসা করে বলা উচিত। বলা উচিত যে এটি আমার শেষ ছবি। তবে পপি ভক্তরা অবশ্য দীর্ঘদিন পর বড় পর্দায় তাদের প্রিয় তারকাকে দেখতে পাওয়াটাকেই খুশির খবর মনে করছেন। তাদের বিশ্বাস সিনেমা সফল হলে হয়তো আবারো নিয়মিত হবেন পপি।
Leave a Reply