সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ডাক্তার মুরাদ হাসান এমপিকে নিয়ে তেজগাঁও কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ এর মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্যের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে এডঃ মতিয়র রহমান তালুকদার স্মৃতি সংসদ। বুধবার বিকেলে বাস স্ট্যান্ড কেন্দ্রীয় মালিক সমিতি অফিসে এ সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন এডঃমতিয়র রহমান তালুকদার স্মৃতি সংসদের সভাপতি সাবেক মহাদান ইউপি চেয়ারম্যান আজমত আলী মাষ্টার। আরও বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ লুৎফর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা এডঃমতিয়র রহমান তালুকদার স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুর রহিম ও পৌর কাউন্সিলর সাখাওয়াত আলম মুকুল। বক্তাগণ ডাক্তার মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানান। বক্তারা বলেন জামালপুর-৪ সরিষাবাড়ি আসনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি প্রার্থী অধ্যক্ষ আব্দুর রশীদ ১০ জানুয়ারি মঙ্গলবার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সরিষাবাড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শিল্পকলা একাডেমীতে এক আলোচনা সভায় তার বক্তব্যে বলেছেন, “ডা. মুরাদ হাসান এমপি উপজেলা আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস দান করে আবার ফেরত নিয়েছেন”।
তার এই উদ্দেশ্য প্রণোদিত,মিথ্যা,বানোয়াট ও ভিত্তিহীন, কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা প্রকাশ করছেন এবং অনতিবিলম্বে এই বক্তব্য প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছেন ডা. মুরাদ হাসান এমপির পক্ষে পৌর কাউন্সিলর সাখাওয়াত আলম মুকুল। ১১ই জানুয়ারি বুধবার তিনি সরিষাবাড়ী উপজেলা বাসস্ট্যান্ড কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উক্ত মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানান।
কেননা, গত ৫ আগস্ট ২০২২ তারিখে ডা. মুরাদ হাসান এমপি বরাবর সরিষাবাড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব ছানোয়ার হোসেন বাদশা কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক চিঠি প্রেরণ করেছেন। উক্ত চিঠিতে অফিস ভবনটি ভেঙে অব্যবহৃত মালামাল নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্যও অনুরোধ করেছেন। অথচ, ডা. মুরাদ হাসান এমপি এই অফিস ফেরত নেয়ার জন্য কখনো আবেদনই করেনি।
এই চিঠি লোক মারফতে ডা. মুরাদ হাসান এমপি পেলেও তিনি কোনো আসবাবপত্র সরিয়ে নেননি,বরঞ্চ তিনি দলের প্রতি আজন্মের কৃতজ্ঞতা ও অগাধ শ্রদ্ধা থেকে এই অফিসটি মেরামতের কাজে উদ্যোগ নিয়েছেন।সেই সাথে আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের জন্য অফিসটি উন্মুক্ত রেখেছেন। এখানে আরও উল্লেখ্য যে, মহান স্বাধীনতার ৫২ বছর পার হলেও এই আসন থেকে ইতি পূর্বে ঐতিহ্যবাহী সংগঠন আওয়ামী লীগের অনেক এমপি নির্বাচিত হয়েছেন এবং নির্বাচন আসলে ডজন ডজন অতিথি এমপি পদ প্রার্থী হতে চলে আসেন অথচ আওয়ামী লীগের অফিস ঘর নির্মাণের জন্য একবার মনেও করেন না। অতীব দুঃখের বিষয় সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কেও স্থায়ীভাবে আওয়ামী লীগের কার্যালয় নির্মাণের কথা চিন্তা করেননি। দীর্ঘ দিন পর হলেও একমাত্র আলহাজ্ব ডাক্তার মুরাদ হাসান এমপি রেলওয়ে লীজকৃত জমিতে ক্রয় সূত্রে একটি টিনসেট হাব বিল্ডিং ঘর নির্মাণ করেন। সেখানে পার্টির কার্যক্রম চলে আসছিল। কিন্তু গত বছর ২০২২সালে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সীমানা প্রাচীর নির্মাণের প্রয়োজনে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন ম্যাজিস্ট্রেট। কিন্তু তখন ঘরটি রক্ষায় আওয়ামী লীগের কোন নেতা বা কেউ অনুরোধ করার জন্য এগিয়ে যাননি। আওয়ামী লীগের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ হয়তো অনুরোধ জানালে বর্তমান সরকার আওয়ামী লীগের কার্যালয়টি ভাংচুর করত না। তাই সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যাচার বন্ধ করে সঠিক এবং সত্য ঘটনা তুলে ধরতে সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল আজিজ-সরিষাবাড়ী থেকে।
Leave a Reply