1. admin@hrrasel.com : admin :
শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩, ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সরিষাবাড়ীতে ব্যাপক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে ডাঃ মুরাদ হাসান এমপির লিফলেট বিতরণ সরিষাবাড়ীতে উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের লিফলেট বিতরণ করলেন ডাঃ মুরাদ হাসান এমপি সরিষাবাড়ীতে “জৈব কৃষি ও জৈবিক বালাই দমন ব্যবস্থাপনা” প্রদর্শণী মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত সরিষাবাড়ীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গৃহবধুর মৃত্যু মাটিরাঙ্গায় জোন কমান্ডার ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত সরিষাবাড়ীতে মেয়াদ উত্তীর্ণ ইনজেকশন বিক্রির অভিযোগ সরিষাবাড়ীতে এনজিও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কিস্তি’র টাকা না পেয়ে টিভি ও ফ্রিজ নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মডেল মসজিদ নির্মাণ বিশ্বের মাঝে এক যুগান্তকারী সাহসী উদ্যোগ- ডাঃমুরাদ হাসান এমপি যমুনা ফার্টিলাইজার কারখানার সিবিএ’র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১৩ জনকে শোকজ বীর মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রীকে লোহার রড দিয়ে মারধরে উদ্যতসহ হয়রানী’র অভিযোগ

ভাঙ্গা ব্রীজের কারণে চরম দুর্ভোগের শিকার সরিষাবাড়ীর লাখো মানুষ

  • প্রকাশিত : বুধবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৩

জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নে যমুনা শাখা ঝিনাই নদীর উপর স্থাপিত শুয়াকৈর ব্রীজটি ২০২০ সালে বন্যার প্রবল শ্রোতে ভেঙ্গে পড়ে। কিন্তু এত দিনেও ব্রীজের সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি কেউ। বর্তমানে ব্রীজ সংযোগ বা সংস্কার না থাকায় চরাঞ্চলের লাখো মানুষের কৃষি পণ্য পরিবহন, চিকিৎসা, শিক্ষাসহ সকল ক্ষেত্রেই পড়তে হচ্ছে চরম দুর্ভোগে। সরজমিনে গেলে এলাকাবাসী জানায়,সরিষাবাড়ী উপজেলার কামরাবাদ ও সাতপোয়া ইউনিয়নের চরাঞ্চল এবং মেলান্দহ ও মাদারগঞ্জ উপজেলার দুইটি ইউনিয়নের ২৫টি গ্রামের মানুষের যাতায়াত সহজ করতে ঝিনাই নদীর উপর ২শ মিটার দৈর্ঘের শুয়াকৈর ব্রীজ নির্মান করে এলজিইডি। এবিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা যায়,২০০৩-০৪ অর্থবছরে নির্মাণ কাজ শুরু হলে শেষ হয় ২০০৬ সালে । ২’শ মিটার দৈর্ঘের ব্রীজটি নির্মাণে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,ব্রীজ নির্মাণের পর এলাকাবাসীর স্বপ্ন পূরণ হলেও টিকেনি বেশি দিন। ব্রীজের পাশ থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে মাটি উত্তোলনের কারণে ২০২০ সালে বন্যার প্রবল স্রোতের তোড়ে নির্মাণের ১৪ বছরের মাথায় ব্রীজের মাঝখানের তিনটি স্প্যান ৬০ মিটার অংশ নদীতে ভেঙ্গে পড়ে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়ে ব্রীজ দিয়ে চলাচলকারী ২৫টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ। ফসলের ভান্ডার হিসেবে খ্যাত চরাঞ্চলের উৎপাদিত কৃষিপণ্য পরিবহণ, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী,চিকিৎসা সেবা, যাতায়াতসহ নানামূখি সংকটে পড়েছে এই জনপদের মানুষ । শুষ্ক মৌসুমে বাঁশ কাঠের সাঁকো দিয়ে অথবা পায়ে হেঁটে কয়েক কিলোমিটার হেঁটে স্কুল কলেজ করতে পারলেও বর্ষায় অনেকেরই বন্ধ হয়ে যায় স্কুল কলেজ যাওয়া। গর্ভবর্তী মা, বয়স্ক ও শিশু রোগী নিয়ে চরম বিপাকে পড়ছেন এলাকার মানুষ। বর্ষা মৌসুমে পানি বৃদ্ধি পেলে এই জনপদের মানুষের একমাত্র ভরসা নৌকা। দিনের বেলায় পারাপার স্বাভাবিক হলেও রাতের বেলায় পারাপার বন্ধ থাকে। এতে রাতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় মানুষের । সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়তে হয় প্রসূতি মা-বোনদের সদর হাসপাতালে নিয়ে যাতায়াত করতে। স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, ব্রীজের নিচ থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি তুলে বিক্রি করায় পিলার দেবে স্পেন নদীতে পড়ে যায়। এখন আমাদের পারাপারে কষ্ট হচ্ছে। ব্রীজ সংস্কারের দাবিতে সরকারি অফিস আর রাজনৈতিক নেতাদের কাছে ধর্ণা দিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি। বিভিন্ন সময়ে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি করলেও দুর্ভোগ লাগবে উদ্যোগী হয়নি কেউ। তারা আরও বলেন, শুয়াকৈর ব্রীজ হওয়ার পর তারা স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন। ব্রীজ ভাঙ্গার সাথে সাথে তাদের স্বপ্নও ভেঙ্গে যায়। স্থানীয় শিক্ষার্থীরা বলছেন,শুকনো মৌসূমে স্কুল কলেজ করতে পারলেও বর্ষায় অনেকেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারেন না। স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, ব্রীজ না থাকায় চরাঞ্চলের ফসল উৎপাদনে খরচ বেশি আর ফসল বিক্রি করতে হয় কম দামে। যোগাযোগ ব্যাবস্থা না থাকায় মহাজন বা ফরিয়াগণ ঐ এলাকার হাটে বাজারে আসতে চায় না। এতে উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত ও আর্থিক ক্ষতির মূখে পড়ছেন কৃষকগণ। মুদি দোকানী আলম জানান, আগে বাজার থেকে গাড়ি দিয়ে জিনিস পত্র নিয়ে নিজের দোকানে বিক্রি করতাম। এখন ব্রীজের সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় জিনিস পত্র নেওয়া কষ্ট হয়ে পড়েছে। সাঁকো দিয়ে গাড়ি পারাপার করতে গেলে অনেক ভাড়া গুনতে হয়। এখন লোকসানের মুখে পড়ে যাচ্ছি। গাড়ি চালকরা জানান,আগে সহজেই সরিষাবাড়ী থেকে মাদারগঞ্জ ভারী পণ্য পরিবহন করতে সহজ ছিল। এখন ৬-৭ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়। ভ্যান ও অটোরিকশা চালকরা জানান,বাঁশ ও কাঠের তৈরি পুল দিয়ে নদী পারাপারের সময় গাড়ি উল্টে যায়।এর সাথে গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সমস্যা দেখা দেয়,মেরামত করতে গেলে যা ভাড়া পাই তার দ্বিগুণ টাকা ব্যয়ে ঠিক করতে হয়। এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ জানান,উন্নয়ন বঞ্চিত চরাঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, শিক্ষা,স্বাস্থ্যসহ মৌলিক অধিকার নিশ্চিতে দ্রুত ব্রীজটি বাস্তবায়ন করা না হলে পিছিয়ে পড়বে এই জনপদের মানুষ। সরিষাবাড়ী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এ.কে.এম.আশরাফুল ইসলাম বলেন ,চরাঞ্চলে কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত,শিক্ষার্থীদের পিছিয়ে পড়া রোধসহ শুয়াকৈর ব্রীজ ব্যবহারকারী লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ লাগবে সরকার ব্রীজ নির্মানে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করবে। কমরাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জানান মানুষের দুর্ভোগ লাগবে কোনো কাজ করতে পারছেন না তারা। ব্রীজ সংস্কার বা পুনঃনির্মাণ এর জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। ব্রীজের বিষয়ে সরিষাবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,ব্রীজটি বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন ধরণের পরীক্ষা নিরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাপোর্টিং প্রকল্পে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্রীজ সংস্কার বা পুনঃনির্মাণ কাজ শুরু করা হবে। এ বিষয়ে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ডাক্তার মুরাদ হাসান এমপি বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকার চরাঞ্চলের জনগনের যাতায়াতের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগে ডিও লেটার সহ ব্রীজটি দ্রুত সংস্কারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া নৈতিক দায়িত্ব।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল আজিজ সরিষাবাড়ী থেকে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© All rights reserved © 2022 HR Rasel
Theme Customized By Shakil IT Park